অসহায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

যশোরের বেনাপোলের এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান হালিমা আক্তার (ছদ্মনাম) দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হয়েছে।  

তার বাবা দিনভর প্যাডেল ভ্যান চালিয়ে যা আয় করেন, তাতে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। কোনো দিন ১৫০ টাকা, কোনো দিন ২০০ টাকা - এই অনিশ্চিত আয়ে পাঁচজনের পেট চালানোর চেষ্টা চলছে। মা-বাবা দুজনেই অসুস্থ, কিন্তু ডাক্তার দেখানো বা ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই তাদের। ক্ষুধা আর অভাবের মধ্যে থেকেও তারা একটাই স্বপ্ন দেখেন - মেয়েটি যেন পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়।  

আবাসিক হলে জায়গা না পেয়ে হালিমাকে থাকতে হয় একটি মেসের ছাদে। সেখানে টিনের চালার নিচে ভাঙা জিনিসপত্রের পাশে তার ঠাঁই। বাবা টাকা পাঠাতে পারেনি বিধায় দুই মাসের মেসের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। খাবারের অবস্থা আরও করুন - কখনো পান্তা ভাত কাঁচা মরিচ দিয়ে, কখনো শুধু চা-বিস্কুট খেয়ে দিন কাটে। একটু ভালো খাবার পেলে তার পেটে ব্যথা হয়, কারণ অভ্যাসই হয়ে গেছে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকার।  

এই পরিবারের জন্য মাছ-মাংস যেন বিলাসিতা। তবুও হতদরিদ্র এই পরিবার হাল ছাড়েনি। মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই তাদের একমাত্র আশা। বাবা বলেছেন, "রক্ত বিক্রি করে হলেও মেয়েকে পড়াব।" এই সংকল্পই তাদের সংগ্রামী করে তোলে। তাদের জীবনযুদ্ধ শুধু পেট ভরার জন্য নয়, সম্মান নিয়ে বাঁচার জন্য।  

সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এই পরিবারটির স্থায়ী দারিদ্য বিমোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে হালিমা বেগমের উন্নত থাকা-খাওয়া নিশ্চিত করে তাকে প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে। তার পাশাপাশি তার বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং আয় বর্ধনের উদ্যোগ নেয়া হবে, ইন-শা-আল্লাহ্‌। 

যেকোনো পরিমাণ অনুদান দিয়ে এগিয়ে আসুন।