সামাজিক বৈষম্য নিরসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সাঃ)
যাকাত ফেয়ার-২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় খ গ্রুপের প্রথম স্থান অধিকারী দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ দিদারুল ইসলামের রচনা, প্রতিষ্ঠানঃ আরএসএফ গ্রানাডা একাডেমী, বগুড়া
সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব এবং যাকে সৃষ্টি না করলে এই বিশ্বমন্ডলের কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না। তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। পবিত্র এ রবিউল আওয়াল মাসে বিশ্বনবী ও খাতামুন নাবিয়্যিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে মহান আল্লাহ তায়ালা সমাজে বৈষম্য নিরসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর জীবনকালে সমাজে ন্যায় বিচার ও সামাজিক বৈষম্য নিরসন করেছেন। ইসলাম প্রচারের সময় মহানবী (সাঃ) ধনী—গরীব, উঁচু—নিচু, ধর্ম, বর্ণের কোনো ভেদাভেদ করেননি। নারীকে দিয়েছেন সামাজিক মর্যাদা। ভাইকে ও বোনকে তার প্রাপ্য ভাগ সঠিকভাবে দিয়েছেন। এতিমের সম্পদ রক্ষার্থে তিনি কোনো বৈষম্য করেননি। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভেদাভেদ করেননি। আর এভাবেই তিনি হয়েছেন মহামানব।
ন্যায় বিচারে মহানবী (সাঃ) এর ভূমিকা তুলে ধরা হলোঃ
সামাজিক জীবনে ন্যায় বিচারঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কোনো বংশ মর্যাদা, ধনী গরীব, উঁচু—নিচু এগুলোর কোনো ভেদাভেদ করেননি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“মানুষের মধ্যে তোমরা যখন ন্যায় বিচার করবে তখন আদলের সাথে করবে।” [সূরা নিসা, আয়াত: ৫৮]
মহানবী (সাঃ) সবার প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এতিমকে তার প্রাপ্য সঠিকভাবে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নারীকে দিয়েছেন তার প্রাপ্য সামাজিক মর্যাদা। এভাবেই তিনি সামাজিক জীবনে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
দাস প্রথা উচ্ছেদ করে মহানবী (সাঃ) এর ন্যায় বিচারঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর যুগে দাস প্রথা প্রচলিত ছিল। সে সময় মানুষকে পণ্যের মতো বাজারে ক্রয় বিক্রয় করা হতো। দাসকে তার সামাজিক মর্যাদা দেওয়া হতো না। দাসের উপর অনেক অমানবিক অত্যাচার করা হতো। ঠিক সেই সময় হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) দাস প্রথার বিরোধীতা করলেন। তিনি দাস প্রথা উচ্ছেদ করে দাসের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি একজন মুসলিম দাসকে মুক্ত করে দেবে, পরকালে আল্লাহ তায়ালা তাদের এক একটি অঙ্গ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।” [মিসকাত শরীফ]
মহানবী (সাঃ) শুধু মুখেই বলেননি সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। তার দৃষ্টান্ত হলো হযরত বেলাল (রাঃ)। তিনি হযরত বেলাল (রাঃ) কে তার মালিকের কাছ থেকে দিনারের মাধ্যমে ক্রয় করে তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং তাকে মসজিদের মুয়াজ্জিন বানিয়েছিলেন। এভাবেই তিনি দাস প্রথা উচ্ছেদ করে দাসের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
নারীর প্রতি ন্যায় বিচারঃ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময়কালে সমাজে নারীর কোনো মূল্য ছিল না। নারীকে তার সামাজিক মর্যাদা দেওয়া হতো না। নারীদের সমাজে অবহেলা করা হতো। নারীদেরকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করা হতো। কোনো মানুষ
যদি নারী সন্তান জন্ম দিত তাহলে সে সমাজে মুখ দেখাতো না। নারী সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে ফেলতো বা আগুনে ফেলে দিত। এমনকি উঁচু পাহাড় থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেনঃ
ÒWhen someone is informed of the birth of a female child, his face turns pale, and he feels acute mental pain. On being given this news, he goes out in self-concealment out of shame. He starts thinking whether to retain her despite self-remorse or to bury her alive. Unquestionably, evil is what they decide."
[Sura: An-Nahl, Ayat: 58-59]
ঠিক সেই সময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নারীকে তার প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেন। নারীদের সমাজে তার প্রাপ্য অধিকার দেন। আর মহানবী (সাঃ) বলেছেন— “যে ব্যক্তির কোনো কন্যা সন্তান থাকে আর সে তাকে জীবন্ত কবর দেয় না। তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে না। ছেলে সন্তানকে কন্যা সন্তান এর উপর প্রাধান্য দেয় না। সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। [আবু দাউদ]
আর এভাবেই মহানবী (সাঃ) নারীদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বেদুইনের প্রতি ন্যায় বিচারঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর জীবনকালে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে তিনি কোনো ধনী—গরীর, ধর্ম, বর্ণ ও বংশমর্যাদা কোনো ভেদাভেদ করেননি। নিচের ঘটনা তার দৃষ্টান্ত বহন করে: সোরাকা নামক জনৈক সাহাবী এক বেদুইনের কাছ থেকে উট ক্রয় করে তার মূল্য পরিশোধ না করায় বেদুইন তাকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দরবারে হাজির করে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রশ্নের জবাবে সোরাকা বলেন যে তার মূল্য পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই। তখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বেদুইনকে বলেন, তুমি উটটাকে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি কর এবং তোমার পাওনা উসুল করে নাও। [দারে কুতনি]
এভাবেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ন্যায় বিচার করেছেন।
ইনসাফ ভিত্তিক ন্যায় বিচারঃ
মহানবী (সাঃ) এর পুরো জীবনটাই ছিল ন্যায় বিচার ও ইনসাফে পরিপূর্ণ। তিনি কখনো কারো প্রতি অবিচার করেননি। তিনি কোনো দিন কারও ইনসাফ আত্মসাৎ করেননি। তার দৃষ্টান্ত হলোঃ
“শিশুকালে মহানবী (সাঃ) তার দুধ মা হালিমার শুধু এক স্তনের দুধ পান করত। আর এক স্তনের দুধ তার দুধ ভাই আবদুল্লাহ্র জন্য রেখে দিত।” [সিরাতুল নবী (সাঃ)]
হিলফুল ফুযুল প্রতিষ্ঠাঃ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শিশুকাল থেকেই ন্যায় পরায়ণ ও শান্তি প্রিয় মানুষ ছিলেন। হারবুল ফিযার যুদ্ধের ভয়াবহ অবস্থা দেখে তিনি শান্তি প্রিয় যুবকদের নিয়ে হিলফুল ফুযুল গঠন করেন। এই সংঘের উদ্দেশ্য ছিল আর্তের সেবা, অত্যাচারিকে প্রতিরোধ ও অত্যাচারিত কে সাহায্য করা, শান্তি—শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং গোত্রে গোত্রে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখা।
বর্তমান আধুনিক বিশে^র জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শান্তি সংঘ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ঐ হিলফুল ফুযুলের কাছে অনেকাংশ ঋণী। তারাও হিলফুল ফুযুলের মতো যুদ্ধ বন্ধ করে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট।
মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠা করাঃ
মহানবী (সাঃ) মদিনায় হিজরতের পর তিনি আওস ও খাযরাজ গোত্রের মাঝে চলমান দীর্ঘ দিনের যুদ্ধ বন্ধ করলেন। মদিনা ছিল বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের লোকজনের আবাস। তারা সব সময় যুদ্ধে লিপ্ত থাকত। তখন মহানবী (সাঃ) ন্যায় বিচার, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র করার উদ্দেশ্যে একটি সনদ তৈরী করলেন। তার নাম মদিনা সনদ। এই সনদে মোট ৪৭টি ধারা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
❖ সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও পৌত্তলিক সম্প্রদায় সমূহ সমানভাবে নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।
❖ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হবেন প্রজাতন্তের প্রধান এবং সর্বোচ্চ বিচারালয়ের কর্তা। ❖ মুসলিম ও অমুসলিম সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
❖ স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে কখনো বিরোধ দেখা দিলে মহানবী (সাঃ) আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তার মীমাংসা করবেন।
❖ সনদের ধারা ভঙ্গকারীর উপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে।
এভাবে মহানবী (সাঃ) সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি তাঁর পরিচালিত সমাজে ও রাষ্ট্রে সুবিচার নিশ্চিত করার ব্যাপারে কতখানি যত্নবান ছিলেন, উপরের ঘটনা তার প্রকৃত প্রমাণ বহন করে।
বৈষম্য নিরসনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ভূমিকা তুলে ধরা হলোঃ
সামাজিক জীবনে বৈষম্য নিরসনে মহানবী (সাঃ)
মহানবী(সাঃ) এর সময়কালে মানুষের মধ্যে অহংকার ছিল। তারা ধনী—গরীব দেখে মানুষকে ভেদাভেদ করত। শুধু তাই নয়, বংশমর্যাদা দেখে মানুষকে মূল্যায়ন করত। এর কারণে মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। মহানবী (সাঃ) এই বৈষম্য নিরসন করেছেন। তিনি মানুষকে তার সামাজিক মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি কখনো জাতি ধর্মের ভেদাভেদ করেননি। তিনি ধনি—গরীর, উঁচু—নিচু সবাইকে সমান মনে করতেন। মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে
“আরবের উপর অনারবের, অনারবের উপর আরবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নাই। সব মানুষ একে অপরের ভাই, সবাই আদমের বংশধর, আর আদম মাটির তৈরি। [মুসনাদে আহমেদ]
এভাবেই মহানবী (সাঃ) সমাজে বৈষম্য নিরসন করেছেন।
বৈষম্য নিরসনে মহানবী (সাঃ) এর ভূমিকাঃ
মহানবী (সাঃ) কখনো মানুষের মধ্যে বৈষম্য করেননি। বরং তিনি সমাজ থেকে বৈষম্য নিরসন করেছেন। নিচের ঘটনা তার প্রমাণঃ
কুরাইশ বংশের বনী মাখযুম গোত্রের এক সম্ভ্রান্ত নারী চুরি করে ধরা পরে। তাকে রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির করা হয়। রাসুল (সাঃ) তার হাত কেটে ফেলার আদেশ দেন। মহানবী (সাঃ) কে অনেক অনুরোধ করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু মহানবী (সাঃ) বলেন
“আল্লাহর কসম, এই চুরি যদি আমার মেয়ে ফাতেমাও করত তাহলে আমি তার হাত কেটে ফেলার আদেশ দিতাম। ” [বুখারি ও মুসলিম]
স্ত্রীকে মর্যাদা দিয়ে বৈষম্য নিরসনে মহানবী (সাঃ)ঃ
মহানবী (সাঃ) এর সময়কালে মেয়েদের সমাজে কোনো সম্মান ছিল না। এবং তাদের তুচ্ছ মনে করা হতো। শুধু তাই নয়, স্ত্রীকেও সঠিক মর্যাদা দেওয়া হতো না। তাদের উপর যুলুম করা হতো। তাদেরকে প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হতো না। অপর দিকে মহানবী (সাঃ) তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনো কারোর সাথে অবিচার করেননি। তিনি সবাইকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন
“তোমরা তোমাদের স্ত্রীর সাথে উত্তম ব্যবহার করে জীবনযাপন করবে।”
[সূরা আন—নিসা, আয়াত: ১৯]
মহানবী (সাঃ) বিদায় হজে¦র ভাষণে বলেছেন যে— “স্ত্রীদের সাথে সদয় ব্যবহার করবে। তাদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার তেমনি তোমাদের উপরও তাদের অধিকার রয়েছে।” মহনবী (সাঃ) আরো বলেছেন যে, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।” [তিরমিযি]
এভাবেই মহানবী (সাঃ) স্ত্রীলোকদের মর্যাদা দিয়ে বৈষম্য নিরসন করেছেন।
বৈষম্য নিরসনে দাস—দাসীর প্রতি মহানবী (সাঃ) এর উদারতাঃ
মহানবী (সাঃ) এর সময়কালে দাস প্রথা প্রচালিত ছিল। মানুষকে বাজার থেকে ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে তার ওপর যুলুম করা হতো। তাকে বিভিন্ন ভাবে কষ্ট দেওয়া হতো। তাদের সাথে অনেক অমানবিক আচরণ করা হতো। দাস—দাসীদেরকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো না। মহানবী (সাঃ) দাস প্রথার বৈষম্য নিরসন করেছেন। তার দৃষ্টান্ত হলোঃ
হযরত আনাস (রাঃ) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অধীনে দশ বছর কাজ করেছেন। কিন্তু মহানবী (সাঃ) তাঁকে কোনোদিন কৃতদাস মনে করেননি। তিনি কোনোদিন তার প্রতি অবিচার করেননি। তিনি কোনোদিন তাকে কৃতদাস ভেবে অবহেলা করেননি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যেঃ— দাস—দাসীর প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। তোমরা যা আহার করবে ও পরিধান করবে তাদেরকেও তা আহার করাবে ও পরিধান করাবে। তারা যদি কোনো অমার্জনীয় অপরাধ করে ফেলে, তবে তাদের মুক্ত করে দেবে। তবুও তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করবে না। কেননা তারাও তোমাদের মতোই মানুষ, আল্লাহর সৃষ্টি। সকল মুসলিম একে অন্যের ভাই এবং তোমরা একই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। ” [বিদায় হজে¦র ভাষণ]
এভাবে মহানবী (সাঃ) দাস—দাসীর প্রতি বৈষম্য নিরসন করেছেন।
উপসংহারঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সমাজে বৈষম্য নিরসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ছিলেন ন্যায় বিচারের প্রতীক। আমাদের উচিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা এবং তা আমাদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। আমরা যদি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর গুণ ও আদর্শ বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে আমাদের চরিত্র হবে অনেক সুন্দর। আমরা যদি সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য নিরসন করতে পারি তাহলে আমাদের সমাজ হবে সুন্দর। অতএব, আমাদের উচিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ মেন চলা এবং সেটা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা।